শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
পরিচ্ছন্ন ও সবুজে ঘেরা মনোরম পরিবেশের শহর রাজশাহী

পরিচ্ছন্ন ও সবুজে ঘেরা মনোরম পরিবেশের শহর রাজশাহী

পরিচ্ছন্ন ও সবুজে ঘেরা মনোরম পরিবেশের শহর রাজশাহী
পরিচ্ছন্ন ও সবুজে ঘেরা মনোরম পরিবেশের শহর রাজশাহী

নিজস্ব প্রতিবেদক : পরিচ্ছন্ন ও সবুজে ঘেরা মনোরম শহর রাজশাহী। পদ্মার তীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছে সবুজে ঘেরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এই নগরী।

বাতাসে ভাসমান মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কণা দ্রুত কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বিশ্বে পরিচিতি অর্জন করেছে রাজশাহী শহর। এর ফলে নগরবাসী দুর্গন্ধমুক্ত নির্মল বাতাসে প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছেন।

রাজশাহীকে নানা নামে ডাকা হয়, সবুজ নগরী, শিক্ষা নগরী, শান্তির নগরী, রেশম নগরী বা সিল্ক সিটি।

ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা মো. আনোয়ার হোসেন শিপলু বলেন, “এখানকার চমৎকার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ দেখে আমি মুগ্ধ। এখানকার মানুষদের ভালো লেগেছে।

স্বাস্থ্যকর ও পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে দেশের সব শহরের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে রাজশাহী শহর। নগর উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও জিরো সয়েল প্রকল্প গ্রহণের কারণেই এ সাফল্য বলে জানায় রাজশাহী সিটি করপোরেশন।

রাসিক প্রধান প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাশার জানান, ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাতাসে ভাসমান মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কণা দ্রুত কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বিশ্বে এগিয়ে রয়েছে রাজশাহী শহর। জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

এ মানের ধারাবাহিকতা এখনো রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “মান নিয়ন্ত্রণ সিটি করপোরেশন করে না। জিরো সয়েল প্রকল্পের কারণে এ মান অর্জন সম্ভব হয়েছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, পরিবেশ সুরক্ষা ও জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত প্রভাব ঠেকাতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে রাসিক। বাতাসে ভাসমান মানবদেহের জন্য ক্ষুদ্র ধুলিকণামুক্ত হয়েছে নগরী। এর পাশাপাশি পুরো নগরীর সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। পুরো নগরীর সড়ক বিভাজক সবুজায়নের আওতায় নেয়া হয়েছে। নগরের বেশিরভাগ অংশের সড়ক সবুজায়ন ও সৌন্দর্য বর্ধনের আওতায় রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “নগরীর প্রধান সড়ক বিভাজক ও সড়ক দ্বীপে ৩৫০টি পামগাছ লাগানো হয়েছে। ২০ ফুট অন্তর লাগানো হয়েছে এসব গাছ। এর ভেতর লাগানো হয়েছে রঙ্গন, কাঠ করবি, চেরি ও এ্যালামুন্ডা। সব নিচে লাগানো হয়েছে সবুজ হেজ। এরপর কাঠ ও বাঁশের আদলে তৈরি করা হয়েছে কনক্রিটের বেড়া। সব মিলিয়ে এখন দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে পুরো নগরী।

তিনি আরও জানান, পুরো বিষয়টি দেখভাল করছে প্রায় অর্ধশত শ্রমিক। নগরীর সবুজ ধরে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কর্মীরা। শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে অবৈধ পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অন্যদিকে নগরীর ফুটপাথের ওপর সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সব ধরনের ব্যবসা বন্ধ করেছে রাসিক।

নগরীর দরগাপাড়া এলাকার বাসিন্দা সম্রাট বলেন, “রাজশাহী নগরীর পদ্মা নদীর পরিত্যক্ত পাড়ে বর্তমানে পরিকল্পিত পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। ফুটপাতে টাইলস দিয়ে হাঁটার পথ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এটি এখন পদ্মার নির্মল বাতাসের একটি উৎস। নগরীর যেকোনো জায়গায় প্রাণভরে নিঃশ্বাস নেওয়া যায়। এছাড়া রাজশাহী নগরের চারদিকে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। সাথে যুক্ত হয়েছে মেহেরচন্দি হয়ে বিহাস পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের একমাত্র ফ্লাইওভার। এছাড়াও ঝলমলে আলোক সজ্জা রয়েছে পুরো নগরীর জুড়ে।

পরিচ্ছন্ন নগরীর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ করা হয়। এর মধ্যে পরিচ্ছন্ন-সবুজ ক্যাম্পাস প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে বিভিন্ন সময় পরিচ্ছন্ন কর্মীদের শপথ পড়ান মেয়র। তিনি নিজে পায়ে হেঁটে নগরীর ঘুরে দেখেন। মেয়রের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে রাস্তা প্রসস্তকরন কর্মসূচি, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ডাসবিন, রাস্তার ডিভাইডারের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফুলের চারা ও বাহারী চারা রোপন আর এ সকল কাজের তদারকি ঠিক মতো হচ্ছে কি তা তিনি সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নেন।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, “বাংলাদেশের সব শহরগুলোর মধ্যে যদি পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কোনো প্রতিযোগিতা হয়, তবে সেই প্রতিযোগিতায় রাজশাহী হবে এক নম্বর শহর। আমরা এতেই সন্তুষ্ট থাকতে চাই না। আমরা চাই রাজশাহীকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অন্যতম সেরা শহরে পরিণত করতে। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।”

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

মতিহার বার্তা ডট কম: ১১ জানুয়ারী ২০২১

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply